জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসকের সামনেই হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় করছেন চিকিৎসা। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এমন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী হলেন ওয়ান ঢাকা নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত সোমবার ১১ আগস্ট রাতে জাতীয় চক্ষু হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় আশিক জরুরী বিভাগে এক রোগীর চোখ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কি যেন দেখার চেষ্টা করছেন। পরে কটন বাড দিয়ে চোখ পরিষ্কার করে ঔষধ লাগিয়ে দিলেন। এরপর কিছু সময় রোগীকে জরুরি বিভাগে বসিয়ে রেখে অন্দরমহলে থাকা চিকিংসক শারমিন জাহানের কাছ থেকে ব্যাবস্থাপত্র এনে দিলেন। জানা যার রাতে আউটডোর বন্ধ থাকায় নগদ টাকায় মেলে এমন চিকিৎসা
এসময় চিকিৎসকের উপস্থিতিতে আর দুইজন রোগীর চোখ পরীক্ষা করেন ওয়ার্ডবয় আশিক। দ্বিতীয় রোগী মধ্য বয়সী হলেও তৃতীয় রোগী ছিলেন ৫ থেকে ৬ বছরের শিশু। প্রতিবেদককে অভিভাবকরা জানান ২ দিন ধরে চোখ ফুলে থাকায় তাকাতে পারছেন না তাদের সন্তান।
এরপর সেই রাতেই জাতীয় চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক শারমিন জাহানের উপস্থিতিতে শিশু রোগীর সাথে যা যা করলে ওয়ার্ডবয় আশিক প্রতিবেদকের ভাষায় তার বর্ণনা -
দেখা যায় চোখের ব্যথায় কাতরানো অসুস্থ শিশু সন্তানকে নিয়ে বাবা মা জরুরী বিভাগে পৌছালে কোন কথা বলেননি উপস্থিত চিকিৎসক। এসময় অভিভাকদের কাছে কি সমস্যা জানতে চেয়ে ওয়ার্ডবয় আশিক শিশুটিকে বেডে শুয়ে দিতে বলেন।
এরপর শুরু হয় চিকিৎসা , প্রথম রোগীর মতোই একই চিকিৎসা পদ্ধতিতে কটনবাড নিয়ে শিশুটির ২ চোখে খোঁচাতে থাকেন ওয়ার্ডবয়। এসময় কটনবাডের সাথে কিছু রক্ত বের হতে দেখা য়ায়। এমনকি ব্যাথায় শিশুটির প্রচন্ড চিৎকারেও থেমে যায়নি ওয়ার্ডবয়। এভাবে চলতে থাকে প্রায় ২ মিনিট। এমন পরিস্থিতিতেও শিশুটিকে চিকিংসার দিতে এগিয়ে আসেননি চিকিৎসক শারমিন জাহান। পরে শিশুটির চোখে ড্রপ জাতিয় ঔষধ দিয়ে পানি না লাগাতে অভিভাবকদের পরামর্শ দেন ওয়ার্ডবয় আশিক।
এসব বিষয়ে ওয়ার্ডবয় আশিকের কাছে প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি জানান এ হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়রা ডিউটিরত চিকিৎসকের নির্দেশে রাতে জরুরী রোগীর চিকিৎসায় এমন সহযোগিতা করে থাকেন।
এই বিষয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পরিচালকের কাছে জানতে চাইলে , এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান অধ্যাপক ডাক্তার খায়ের আলম চৌধুরী