উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, চলচ্চিত্র ও গান—সৃজনশীলতার প্রায় প্রতিটি শাখায়ই অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গেছেন তিনি। তার লেখা চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছে বাঙালির হৃদয়ে।
বর্ষা ছিল হুমায়ূন আহমেদের প্রিয় ঋতু। তার সাহিত্যে বারবার উঠে এসেছে বর্ষার বন্দনা। ১৩ বছর আগে এমনই এক বর্ষণমুখর দিনে তিনি বিদায় নেন পৃথিবী থেকে, যেন নিজেই বর্ষার সঙ্গে মিশে যান।
রসায়নের কঠিন বিষয় পড়ালেখা করলেও তার লেখায় প্রতিফলিত হয়েছে সহজ-সরল মানুষের জীবন, প্রকৃতি আর আবেগের রঙিন চিত্র। সৃষ্টি করেছেন হিমু, মিসির আলী, বাকের ভাই, রূপা প্রমুখ জনপ্রিয় চরিত্র, যাদের নিয়ে গড়ে উঠেছে আলাদা পাঠক-ভুবন।
বাংলা সাহিত্যে বিজ্ঞানের কল্পনা নিয়ে লিখেও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। তার নির্মিত নাটক ও চলচ্চিত্র আজও দর্শকের মনে গেঁথে আছে।
স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলা সাহিত্যে ১৯৭২ সালে প্রকাশিত উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ দিয়েই পাঠকমহলে সাড়া ফেলেন হুমায়ূন আহমেদ। এরপর একে একে ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘অয়োময়’, ‘বহুব্রীহি’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘দূরে কোথাও’, ‘ফেরা’ ইত্যাদি কালজয়ী রচনার মধ্য দিয়ে জয় করে নেন সব বয়স ও শ্রেণির পাঠকের হৃদয়। তার সাহিত্যকর্ম আজও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ছে, পাঠকের হাতে হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছ