২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রবাসী রাজনীতিকদের মাধ্যমে রাজনৈতিক ভিত্তি মজবুত করছেন তারেক রহমান 

প্রবাসী রাজনীতিকদের মাধ্যমে রাজনৈতিক ভিত্তি মজবুত করছেন তারেক রহমান 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রবাসে অবস্থান করেও রাজনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয় রয়েছেন। বিশেষ করে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাজ্য ও উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত প্রবাসী নেতাকর্মীদের মাধ্যমে তিনি দলীয় সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন-

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমান নিয়মিতভাবে অনলাইনে বিভিন্ন দেশের বিএনপি শাখা ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এসব বৈঠকে তিনি সাংগঠনিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রবাসী নেতাদের ঐক্যবদ্ধ রাখা এবং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মপন্থা নিয়ে পরামর্শ দেন। তারেক রহমানের জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্বের পথটি গড়ে উঠেছে দৃঢ়তা, সহনশীলতা ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে।

ক্তরাজ্যে নির্বাসিত থেকেও তিনি পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সুদৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলতে উল্লেখযোগ্য সময় দিয়েছেন। প্রস্তুতির এই সময়কালটি একটি স্পষ্ট উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে, তা হলো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত হয়ে দেশে ফিরে আসা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক উপদেষ্টাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, যিনি সিলেট-২ আসনে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের চারজন সফরসঙ্গীর একজন।

আরেকজন ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন অহিদ আহমেদ, যাকে অনেকেই জনজীবনে সাফল্যের জন্য বিএনপির রাজনৈতিক পথিকৃৎ হিসেবে আখ্যা দেন।

অহিদ আহমেদের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যে আসার পর। ২০০২ সালে তিনি লন্ডনে ইউরোপের সর্ববৃহৎ বাংলাদেশি কমিউনিটির আবাসস্থল টাওয়ার হ্যামলেটস বরোর কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

ধীরে ধীরে তিনি যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টিতে প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন, ‘লেবার ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা হন এবং হ্যাজেল ব্লিয়ার্স ও ডেভিড মিলিব্যান্ডসহ বিভিন্ন জ্যেষ্ঠ সরকারি মন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন।

২০১০ সালে, তিনি লেবার পার্টির হয়ে যুক্তরাজ্যের সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নির্বাচিত দুইজন ব্রিটিশ বাংলাদেশীর একজন ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সরাসরি নির্বাচিত মেয়রের অধীনে টাওয়ার হ্যামলেটসের প্রথম সংবিধিবদ্ধ ডেপুটি মেয়র হন, উভয় পদেই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তিরা অধিষ্ঠিত ছিলেন।