মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যারা টাকা পাচার করে তারা সব জানে কীভাবে করতে হবে। এটা আনতে গেলে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তবে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। অনেক লিগ্যাল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয়তো কিছু আসতে পারে।
তিনি বলেন, টাকা ফিরিয়ে আনার এই ফরমালিটি কোনো সরকার অ্যাভয়েড করতে পারবে না। বললেই টাকা দিয়ে দিবে বিষয়টা এমন নয়। লিগ্যাল ওয়েতে যেতে হবে। অর্থ ফিরাতে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যে বেশ দূর পর্যন্ত অগ্রগতি হয়েছে।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আশা করি, নতুন সরকার আসলে এই প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে না পারলে অর্থ ফেরত আনা কঠিন হয়ে যাবে। আনতে হলে প্রসেসগুলো মেনটেইন করতে হবে। এটা তো ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিস। এটা ছাড়া কীভাবে আনবে।
চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, আগে যেখানে এক টাকা চাঁদা নেওয়া হতো, এখন দেড়-দুই টাকা নেওয়া হচ্ছে। ৫ অগস্টের পর নানা পক্ষ চাঁদাবাজিতে জড়িয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, আর রাজনৈতিক সরকার ও রাজনৈতিক কমিটমেন্ট ছাড়া চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ সম্ভবও নয়।
এ সময় ব্যবসায়ীদের বাধার কারণেই নিত্যপণ্যের বাজার দর কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নামছে না বলেও জানান ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
ODNEWS/DSK