৩১ অক্টোবর, ২০২৫

ভোলার জাকির ট্রেডার্স আউটসোর্সিং কর্মীদের কাছ থেকে হাতিয়েছেন প্রায় দুই কোটি টাকা ।

ভোলার জাকির ট্রেডার্স আউটসোর্সিং কর্মীদের কাছ থেকে হাতিয়েছেন প্রায় দুই  কোটি টাকা ।

ভোলা জেলার  প্রায় ২০ লখ  মানুষের একমাত্র সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র জেলা হাসপাতাল এবং উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ।  জেলার গরীব অসহায় মানুষের  চিকিৎসার  একমাত্র ভরসার স্থল এসব স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান চালু হওয়ার পর থেকে তাদের বিরুদ্ধে  বিভিন্ন অনিয়ম ও ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের  । তথ্য বলছে  ২০১৮ সালের আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগ নীতিমালার অধীন ২০১৯ সাল থেকে   হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগের  কাজ করে আসছেন ভোলা জেলার একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান  জাকির ট্রেডার্স ।  জেলার প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং জেলা সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের  পছন্দের  এই আউটসোর্সিং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান  জাকির ট্রেজারসের বিরুদ্ধে  হয়েছে আউটসোর্সিং কর্মীদের  বিস্তর  অভিযোগ।

অভিযোগ রয়েছে  ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাকির ট্রেডার্স  ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সরকারের আউটসোর্সিং নীতিমালা অনুসরণ না করে  জনবল নিয়োগ , ছাটাই এবং  চাকরি রক্ষার নামে  ভয় দেখিয়ে জেলা হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রায় ২৫০  কর্মীর কাছ থেকে ঘুষ  নিয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকারও বেশি বেশি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা জানান,  ঠিকাদার জাকির ট্রেডার্স  প্রতি মাসের বেতন একসাথে ৪-৫ মাস পর দেওয়ার সময়  চাকরি রক্ষার ভয় দেখিয়ে  আউটসোর্সিং কর্মীদের কাছ থেকে  ব্ল্যাংক চেক  অগ্রিম সই করে নিতেন   । পরে জেলার জনতা ব্যাংকের শাখা থেকে ঠিকাদারি  প্রতিষ্ঠান জাকির ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী জাকির নিজে আউটসোর্সিং কর্মীদের  সই করা  খালি চেকের পাতায় আউটসোর্সিং কর্মীদের প্রতি মাসের বেতন ৬১৩০ টাকা থেকে ১,১৩০ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে আসছেন  । 

অভিযোগ রয়েছে ভোলা জেলার প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের  কিছু নেতার ছত্রছায়ায় ২০১৯ সাল থেকে প্রকাশ্যে এখনো  জেলা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে অনিয়মের রাজত্ব এবং ক্ষমতার দুর্গ গড়ে তুলেছেন জাকির ট্রেলার্স  । এসব অনিয়ম জেনেও  চাকরি হারানোর ভয়ে  কোন আউটসোর্সিং কর্মী  প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে ।
   
নিউজ নাউ বাংলার  অনুসন্ধানী টিমের তথ্যে জানা যায় , ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সরকারের আউটসোর্সিং নীতিমালা ২০১৮ এর আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নিয়মাবলী ভঙ্গ করে  আউটসোর্সিং ক্রয় করা সেবার বিপরীতে  কর্মীদেরকে নিজেদের সুবিধামতো  অন্য পদে কাজ করানোর অভিযোগের হয়েছে  ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে  ।

এছাড়া ২০২৫ সালের  আউটসোর্সিং নীতিমালা ৭(ঘ) ভঙ্গ করে  ভোলা জেলা হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসগুলো থেকে  আওয়ামী ট্যাগ সহ  নানা ভুয়া অভিযোগে শত শত আউটসোর্সিং কর্মী ছাঁটাই করা হয় । আরো অভিযোগ রয়েছে ছাঁটাইকর আউটসোর্সিং কর্মীদের স্থলে  অর্থের বিনিময়ে নতুন কর্মী নিয়োগ করেছেন   ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ জেলার রাজনৈতিক নেতা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ।

এইদিকে অনিয়মের মাধ্যমে আউটসোর্সিং এ জনবল নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে নিজের দায় নেই দাবি করে  ভোলা জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ  মনিরুল ইসলাম নিউজ নাউ বাংলার অনলাইন  প্রতিবেদককে টেলিফোনে জানান,নীতিমালা বহির্ভূত  জনবল পরিবর্তনের দায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ।