এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আয়োজকরা জানান, তার কাজগুলোতে উঠে এসেছে বীরাঙ্গনাদের স্মৃতি, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অনুপস্থিতি এবং যশোর রোডের শরণার্থীদের যাত্রাপথ।
প্রদর্শনীতে মোট ১৪টি কাজ প্রদর্শিত হচ্ছে। এর মধ্যে একটি শিল্পকর্মের নাম ‘অদ্ভুত এক আঁধার ধীরে ধীরে গ্রাস করছে সবকিছু’। এতে শিল্পী নিজের চুল ও সুতির শাড়ি ব্যবহার করেছেন। এই কাজে ১৯৭১ সালে নির্যাতিত নারীদের স্মরণ ও চলমান সহিংসতার প্রতিফলন ঘটেছে।
‘গামছা গাঁথা’ একটি স্থাপনাশিল্প, যেখানে গামছা, কালি, মেহেদি ও দগ্ধ উপকরণ ব্যবহার করে ১৯৭১ সালের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে। গামছা এখানে পরিচয় ও সহিংসতার দ্বৈত প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
‘যশোহর রোডে এখনো সেপ্টেম্বর’ শিরোনামের মিশ্রমাধ্যম কাজে অ্যালেন গিন্সবার্গের কবিতা ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে। শাড়ি, চা, কালি, মেহেদি ও অ্যাক্রিলিক ব্যবহারে এই শিল্পকর্মে শরণার্থী জীবনের বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে।
‘প্যালিমসেস্টিক পরিচয়’ একটি তিন মিনিট ছয় সেকেন্ড দীর্ঘ ভিডিও আর্ট। এখানে বাংলাদেশের ইতিহাস, সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ও প্রতিরোধকে প্রতীকীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ডালিমের ব্যবহার রক্ত ও স্মৃতির প্রতীক হিসেবে কাজ করেছে।
শিল্পী আসমা সুলতানা জানান, এই প্রদর্শনী মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ভিত্তিক নানা অভিজ্ঞতা ও স্মৃতিকে ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে উপস্থাপন করার একটি প্রচেষ্টা। তার ভাষায়, “এই কাজগুলো ব্যক্তি ও জাতির অভিজ্ঞতাকে নথিভুক্ত করার একটি উপায়।”
প্রদর্শনীটি প্রতিদিন স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য খোলা থাকবে, প্রবেশ উন্মুক্ত।