logo
ads
২১ অক্টোবর, ২০২৫

বিমানবন্দরের আগুনে ওষুধ শিল্পের ক্ষতি ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি

অনলাইন ডেস্ক

বিমানবন্দরের আগুনে ওষুধ শিল্পের ক্ষতি ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি

16px

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। 

এ সময় বিএপিআই’র মহাসচিব জাকির হোসেন বলেন, দেশের শীর্ষ ৪৫টি কোম্পানির কাঁচামাল পুড়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া পণ্যের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক, ক্যানসার, ভ্যাকসিন, হরমোন ও ডায়াবেটিস জাতীয় ওষুধ উৎপাদনের কাঁচামালসমূহ ছিল। এই পণ্য প্রতিটি ফিনিসড প্রোডাক্টের জন্য প্রযোজ্য। ফলে একটি র-ম্যাটিরিয়ালের কারণে একটি ফিনিসড প্রোডাক্ট উৎপাদন অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে। স্বভাবতই এ ক্ষয়ক্ষতির অনুমেয় মূল্যমান ৪ হাজার কোটির ওপর।

তিনি আরও বলেন, কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্পেয়ার পার্টস ও মেশিনারিজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা পুনরায় আমদানি করা সময়সাপেক্ষ। ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি রপ্তানি সময়সূচিও প্রভাবিত হবে।

ওষুধ শিল্প দেশের অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে জানিয়ে মহাসচিব বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি মানসম্পন্ন ওষুধ ১৬০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হয়, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশও রয়েছে। কিন্তু এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে উৎপাদন চেইনে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে।

তিনি বলেন, দেশের ওষুধ শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের প্রায় ৯০ শতাংশই আসে চীন, ভারত ও ইউরোপ থেকে। এসব কাঁচামালের একটি বড় অংশ জীবনরক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, যা সাধারণত আকাশপথে আমদানি করা হয়। কার্গো ভিলেজে আগুন লাগায় এসব দামি কাঁচামাল ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্যদিকে, বিকল্প হিসেবে অন্য এয়ারপোর্টে নামানো পণ্যগুলোকেও নিয়ে উদ্বেগ আছে, কারণ সেগুলোকেও নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে জাকির হোসেন সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতি দ্রুত তদন্ত, ক্ষতিপূরণের কার্যকর ব্যবস্থা এবং বিকল্প কার্গো ব্যবস্থাপনা জোরদার করার আহ্বান জানান। 

এর আগে, সোমবার (২০ অক্টোবর) এক ব্রিফিংয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সবমিলিয়ে ১ বিলিয়ন ডলার বা ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় রপ্তানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)।

ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় শুধু আর্থিক ক্ষতিই হয়নি, দেশের ভাবমূর্তিও ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে, যা উদ্বেগের।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ অক্টোবর দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আকস্মিকভাবে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বিমানবন্দর ফায়ার সেকশন, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ফায়ার ইউনিটসহ ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট সম্মিলিতভাবে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রমে অংশ নেয়। পরে তাদের প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

OdNEWS/DSA

ads

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ

ads