নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেয়া এক বিশ্লেষণে আকমল বলেন, তৃতীয় টি-টোয়েন্টি পাকিস্তান জিতেছে ঠিকই, কিন্তু আমার মতে বাংলাদেশই ওদের জেতার সুযোগ করে দিয়েছে। আগের দুই ম্যাচে যেভাবে তারা দাপট দেখিয়েছে, তাতে মনে হচ্ছিল পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশ হবে। কিন্তু মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ ভেবেছে তাদের উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়েছে, এখন একাদশের বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের সুযোগ দেয়া যাক।
তৃতীয় ম্যাচে টাইগাররা একাধিক পরিবর্তন এনে মূল কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেয়। সেই সুযোগেই সফরকারীরা সিরিজের একমাত্র জয় তুলে নেয়।
বাংলাদেশ দলের রোটেশন নীতিরও তীব্র সমালোচনা করেছেন আকমল। তিনি বলেন, প্রথম দুই ম্যাচেও বাংলাদেশ রোটেশন পলিসি অনুসরণ করেছে। এটা পাকিস্তানের বিপক্ষে, যারা একসময় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ছিল। অথচ এখন এমনভাবে ট্রিট করা হচ্ছে, যেন তারা আয়ারল্যান্ড বা নেদারল্যান্ডস! এটা অত্যন্ত লজ্জার।
পাকিস্তানের একাদশ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই সাবেক তারকা। তার মতে, শুরু থেকেই লেফট-রাইট হ্যান্ড কম্বিনেশন রাখা উচিত ছিল। ফখর জামান ও সাইম আয়ুবকে একসঙ্গে খেলিয়ে আপনি বাংলাদেশের স্পিনারদের সুবিধা করে দিয়েছেন। শাহিবজাদা ফারহান থাকলে হয়তো কম্বিনেশনটা ভালো হতো এবং স্পিনারদের এতটা আধিপত্য থাকতো না।
এর আগেও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পর বাংলাদেশ পেসার তাসকিন আহমেদকে বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। সেদিন বলেছিলেন, আপনার সেরা বোলারকে বিশ্রাম দিয়ে আপনি আসলে পাকিস্তানকে ছোট দল হিসেবে দেখেছেন।