logo
ads
১ আগস্ট, ২০২৫

ভোলা পৌরসভায় সরকারি ভাতায় দুর্নীতি।ধরাছোঁয়ার বাইরে অপরাধীরা -

অনলাইন ডেস্ক

ভোলা পৌরসভায় সরকারি ভাতায় দুর্নীতি।ধরাছোঁয়ার বাইরে অপরাধীরা -

16px

সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠী, বিধবা নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রাখলেও এর সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে প্রকৃত উপকারভোগীরা। ওয়ান ঢাকা নিউজের অনুসন্ধানে ভোলা পৌরসভা এলাকায় এসব ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ পাওয়া যায়। 


প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যে  জানা যায় আওয়ামী সরকারের আমলে ভোলা পৌরসভা এলাকায় প্রতি মাসে সরকারের বরাদ্দকৃত বয়স্ক, বিধবা, মাতৃত্বকালীন ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা পাওয়ার জন্য  ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। 

অনুসন্ধানে জানা যায় স্থানীয় পৌর কাউন্সিলররা  টাকার বিনিময়ে  পছন্দের লোকদের ভাতা কার্ড দিয়েছেন। ভাতার অনলাইন আবেদনের জন্য ভাতাভোগীর কাছ থেকে আদায় করেছেন অতিরিক্ত অর্থ। একজন বিধবাকে মৃত দেখিয়ে তার ভাতা কার্ড বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ভাতার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তিতে দিতে হয়েছে অবৈধ অর্থ। শুধু তাই নয়  নিজের পরিবার আত্মীয়-স্বজনদের নামে তালিকা করে হাতিয়ে নিয়েছে এসব ভাতার টাকা। 

স্থানীয়রা জানান স্বজনপ্রীতির কারণে ভাতার প্রকৃত উপকারভোগীরা আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়ে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করেছেন। এ বিষয়ে তৎকালিন সরকারের স্থানীয় প্রশাসনের একাংশ এই অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলো বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

অভিযোগ আছে সরকারি সুবিধা পেতে  ভাতাভোগীদের অনৈতিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য করেছে জনপ্রতিনিধিদের ব্যাক্তিগত সহকারীরা। এসব অনিয়মের জন্য এখনো সাবেক কাউন্সিলরদের জবাবদিহির মধ্যে আনা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।  শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অনেক জনপ্রতিনিধি পালিয়ে গেলেও  দলীয় পরিচয় পরিবর্তন করে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন কেউ কেউ।  সুত্র বলছে এসব দুর্নীতিতে শীর্ষে ছিলেন মহিলা কাউন্সিলরা। তারা সরকারি ভাতা প্রকল্পের টাকা নয় ছয় করে ভোলা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তি গড়ে তুলেছে।

চলবে-ODNEWS/DSK

ads

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ

ads