বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালিত এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সময় দুদক টিম সরেজমিনে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে।
দুদক টিম দেখতে পায়, নির্মাণাধীন দুটি ভবনের একটি দুইতলা ও একটি চারতলা কাজ দীর্ঘদিন ধরে অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রকল্পের অগ্রগতি, অর্থ ব্যয় ও প্রশাসনিক অনুমোদন-সংক্রান্ত তথ্য যাচাইয়ের উদ্দেশে টিম পরবর্তীতে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে উপস্থিত হয়। তবে তখন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দাপ্তরিক কাজে ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানা যায়।
এ অবস্থায় প্রকল্প পরিচালক এবং পরিচালক (প্রশাসন), ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সরবরাহের অনুরোধ জানায় দুদক টিম।
প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য গ্রহণের পর বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনের নিকট দাখিল করা হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর গুলশানের উত্তর বারিধারার আট বিঘা জমিতে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের নামে চলছে বিপুল অর্থের অপচয়। প্রথমে প্রবাসীদের জন্য কিডনি হাসপাতাল ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নির্মাণের পরিকল্পনা চলে। পরে হাউজিং প্রকল্প নির্মাণের উদ্যোগে কেটেছে দুই দশকের বেশি সময়। সেখান থেকে সরে মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড আবারও ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডরমিটরি এবং একটি কমার্শিয়াল ভবন নির্মাণের মহাপরিকল্পনা নেয়। আড়াই দশকে এসব কর্মকাণ্ডে সাড়ে ২৭ কোটি টাকা খরচ হলেও কোনো প্রকল্পই আলোর মুখ দেখেনি।
প্রকল্পের জন্য গুলশানের প্রায় ৬০০ কোটি টাকার জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই তড়িঘড়ি করে পিপিআরের আইন ভেঙে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাত্র ২০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ওই হাসপাতাল পরিচালনায় বোর্ডের আইন ভঙ্গ করেই বোর্ড সভা এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না নিয়েই গঠন করা হয়েছে কোম্পানি। অপরিকল্পিতভাবে প্রবাসীদের বিনিয়োগে হাসপাতাল নির্মাণে তাদের কোনো উপকারে আসবে না। এ ছাড়া, সেবাধর্মী সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোম্পানি গঠনে জটিলতা তৈরি হবে।



