logo
ads
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

১০১ টাকার ওষুধ ১৩০০ টাকায় কিনলো কুমেক হাসপাতাল

অনলাইন ডেস্ক

১০১ টাকার ওষুধ ১৩০০ টাকায় কিনলো কুমেক হাসপাতাল

16px

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) ২৪ কোটি টাকার কেনা-কাটায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইনজেকশনের দাম অস্বাভাবিক বেশি দেখিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপিপন্থি চিকিৎসক সংগঠন ড্যাবের নেতাদের। একইসঙ্গে চিকিৎসা সেবার এই প্রতিষ্ঠানে টেন্ডার বাণিজ্যের মাধ্যমেও গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বাজারে ১০১ টাকা মূল্যের ইনজেকশন ‘থায়োপেনটাল সোডিয়াম’ সরকারি নথিতে দেখানো হয়েছে ১ হাজার ২৯৯ টাকা। শুধু এই একটি আইটেমে লোপাট হয়েছে প্রায় ৪৮ লাখ টাকা। এছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ৯ লাখ এরোভাসটাটিন ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট কেনা হয়েছে। যা শেষ করতে সময় লাগবে অন্তত ২০ বছর। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডাক্তার মাসুদ পারভেজ সোহাগের স্বাক্ষরিত এক চাহিদাপত্রে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি এক প্রতিবাদ সভায় বিএনপিপন্থি চিকিৎসক সংগঠন ড্যাবের কুমিল্লা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. আরিফ হায়দার দাবি করেন, ‘২৪ কোটি টাকার অনিয়মের মধ্যে আড়াই কোটি টাকার ভাগাভাগি হয়েছে পরিচালক ডাক্তার মাসুদ পারভেজ ও কুমিল্লা জেলা ড্যাবের সভাপতি ডা. এম এম হাসান মাসুদসহ কয়েকজনের মাঝে।’

তবে এসময় সভায় উপস্থিত ডা. এম এম হাসান মাসুদ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিবাদ জানান। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হলে গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ড্যাবের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জহিরুল ইসলাম (শাকিল) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ড্যাবের কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও মেডিকেল কলেজ শাখা কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। একইসঙ্গে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সূত্র থেকে জানা যায়, চাহিদাপত্রের ক্রমিক নং-১৬ ও শিডিউল নং-৩৫ অনুযায়ী ক্রয় করা হয়েছে এরোভাসটাটিন ২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট। কিন্তু প্রয়োজন ছিল ১০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট। উচ্চমাত্রার ওষুধ কেনার মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয়ভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে প্রায় ৯ লাখ ট্যাবলেট। এই পরিমাণ ট্যাবলেট খরচ করতে হাসপাতালের লেগে যাবে অন্তত ২০ বছর।

ড্যাব কুমিল্লা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডা. আরিফ হায়দার বলেন, ‘কুমিল্লা জেলা সভাপতি এম এম হাসান আমাকে বলেছেন উনি টেন্ডারের সভাপতি হতে চান। টেন্ডার বাণিজ্যের বিষয়ে আমি তেমন কিছু বুঝি না। উনি আমাকে যা বলেছেন, আমি তাই করেছি। আমাকে ব্যবহার করে ৮০ লাখ টাকা উনি কামিয়েছেন, আমি এক টাকাও নিইনি। দিনশেষে এখন চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ আমি, আমিতো মেডিকেলের কেউ না, আমি দায়বদ্ধ হলাম কীভাবে?’

ODNEWS/DSK

 

ads

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ

ads